ঢাকা,সোমবার, ২০ মে ২০২৪

চকরিয়ায় শিক্ষার্থী নির্যাতনের দায়ে মাদরাসা শিক্ষক গ্রেফতার, পরস্পর বিরোধী অভিযোগ

ovijogএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাদরাসা পড়–য়া শিশু শিক্ষার্থীকে শাররীক নির্যাতনের অভিযোগে জামাল উদ্দিন নামের এক মাদরাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ছড়াকুল এলাকার আর্দশ ইসলামিয়া মহিলা মাদরাসা থেকে ওই শিক্ষককে স্থানীয় জনগনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ গ্রেফতার করেন। শিক্ষক জামাল উদ্দিন ওই মাদরাসার প্রতিষ্টাতা পরিচালক বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে মাদরাসা শিক্ষককে আটকের ঘটনায় তার পরিবার ও স্থানীয় কিছু লোকজনের কাছ থেকে পরস্পর বিরোধী অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো.কামরুল আজম বলেন, সোমবার দুপুরে মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী মাহিনকে শাররীক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে স্থানীয় কিছু লোক ওই শিক্ষককে আটক করে মারধর করছিলেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটিদল সেখান থেকে উদ্ধার করে ওই শিক্ষককে থানায় নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, নির্যাতনের ঘটনায় শিশুটির মা স্থানীয় ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের গাবতলী এলাকার দিনমুজুর বেলাল উদ্দিনের স্ত্রী বাদি হয়ে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এদিকে থানা হাজতে আটক শিক্ষক ও তার পরিবার সদস্যরা দাবি করেছেন, মুলত মাদরাসা থেকে শিক্ষক জামাল উদ্দিনকে বিতাড়িত করতে এবং মাদরাসার জায়গা দখলে নিতে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। তাঁরা ইতোপুর্বে একবার মাদরাসার ভেতর ভাঙ্গা একটি দেশীয় অস্ত্র ঢুকিয়ে দিয়ে ওই শিক্ষককে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু পুলিশের তদন্তে ঘটনাটি সাজানো প্রমাণিত হওয়ার পর থেকে তাঁরা ওই শিক্ষকের পেছনে লেগে রয়েছে।

শিক্ষক জামাল উদ্দিনের স্ত্রীর দাবি, মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা সাজিয়ে সর্বশেষ সোমবার তার স্বামীকে আটক করে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি নির্দয়ভাবে মারধরের পর ফাসাঁনোর জন্য পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।

তবে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, মাদরাসাটি প্রতিষ্টার পর থেকে শিক্ষক জামাল উদ্দিন এই ধরণের বেশ কটি ঘটনা করেছে। কিন্তু প্রতিষ্টানের সুনাম বিনষ্টের আশঙ্কা থাকায় তাকে পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে বারবার সর্তক করা হয়। তারপরও তিনি এ ধরনের কাজ করে চলছেন।

চকরিয়া থানায় ভিকটিম ওই শিক্ষার্থী বলেন, শুক্রবার সকালে মাদরাসার দ্বিতীয় তলায় কক্ষে বসে তিনি পড়ালেখা করছিলেন। ওইসময় অভিযুক্ত শিক্ষক সেখানে ঢুকে তাকে নির্যাতনের চেষ্টা করেন। শনিবার দুপুরে মাদরাসা থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি গিয়ে ঘটনাটি তার মা-বাবাকে জানিয়েছেন। এর একদিন পর স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে সোমবার দুপুরে মাদারায় এসে ওই শিক্ষককে আটক করে মারধরের পর পুলিশে সৌর্পদ করেন। #

পাঠকের মতামত: